![]() |
স্ক্রু গজ |
একটি স্ক্রু গজের বর্ণনা :
এ যন্ত্রটির অপর নাম মাইক্রোমিটার স্কু-গজ। এ যন্ত্রের সাহায্যে তারের ব্যাসার্ধ, সরু চোঙের ব্যাসার্ধ ও ছোট দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা যায়। এতে রয়েছে দুই প্রান্তে দুটি সমান্তরাল বাহু বিশিষ্ট U আকৃতির ফ্রেম বা কাঠামো P এর এক বাহুর সমতল পিঠ A – এর সাথে একটি সমতল প্রান্তবিশিষ্ট দন্ড স্থায়ীভাবে আটকানো থাকে এবং অপর বাহুতে থাকে একটি ফাঁপা নল C। এই C নলে মিলিমিটার দাগাঙ্কিত একটি স্কেল থাকে। একটি বেলনাকৃতি টুপি T পরিহিত স্ক্রু থাকে, যা এই ফাঁপা নলের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করতে পারে। সাধারণত বেলনাকৃতি টুপি T-এর কিনারাকে 50 বা 100 ভাগে ভাগ করা যায়। স্কুর মাথা B যখন A-এর সাথে সমতল প্রান্ত দত্তে স্পর্শ করে তখন বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগ রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগের সাথে মিলে যায়। যদি এই অবস্থায় না মিলে তবে বুঝতে হবে স্ক্রু গজের যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছে।
স্ক্রু গজ এর ক্ষেত্রে কয়টি স্কেল থাকে এবং কি কি?
উত্তরঃ স্ক্রু গজের ক্ষেত্রে দুইটি স্কেল থাকে যথাঃ
( ক) রৈখিক স্কেল {L} (খ)বৃত্তাকার স্কেল{C}।
স্ক্রু গজের সাহায্যে ব্যাস নির্ণয় :
যে তারের ব্যাস মাপতে হবে বা যে পাতের পুরুত্ব বের করতে হবে তাকে স্ক্রু গজের A ও B-এর মাঝে স্থাপন করতে হবে। তার বা পাতটি এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে এর এক পাশ A এবং অপর পাশ Bকে স্পর্শ করে। এবার বৃত্তাকার ও রৈখিক স্কেলের পাঠ নিতে হবে। মনে করি, রৈখিক স্কেলের পাঠ x মি. মি. এবং বৃত্তাকার স্কেলের ভাগ সংখ্যা y। সুতরাং তারের ব্যাস বা পাতের পুরুত্ব হবে; ব্যাস বা পুরুত্ব = রৈখিক স্কেল পাঠ + বৃত্তাকার স্কেলের ভাগসংখ্যা × লঘিষ্ঠ গণন।
=X মিমি y x লঘিষ্ঠ গণন = x মি.মি. + y × 0.01 মি.মি = (x+ 0.01y) মি. মি.
মনে করি, একটি তারের রৈখিক স্কেলের পাঠ বা x হলো 2 মি. মি এবং বৃত্তাকার স্কেলের ভাগ সংখ্যা y হলো 30. তখন তারের ব্যাস = 2 মিমি + 0.3 মি.মি = 2.3 মি.মি।